হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত একাধিক মামলার পলাতক আসামী হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী গ্রামের মৃত হায়দর আলীর পুত্র ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জামাল হোছন মেম্বারকে (৪৫) আটক করেছে। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। উক্ত মামলায় তাঁকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায় ২৮ জুলাই সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খানের নির্দেশে এসআই বোরহান উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ এসে হ্নীলা বাস ষ্টেশন থেকে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানান আটককৃত জামাল হোছন মেম্বারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছাড়াও তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার। তার চার পুত্র ও এক মেয়েসহ ভাইদের বিরুদ্ধেও ডজন খানেক ইয়াবা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে আটকের দিনও তিনি পুলিশকে জড়িয়ে নতুন নাটকীয় ঘটনা সৃষ্টি করেন। ২৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফ থানা পুলিশের এসআই বোরহান উদ্দিন একটি মামলা তদন্ত কাজে তাঁর বাড়ীতে যান। বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য হ্নীলা বাস ষ্টেশনে থাকা জামাল হোছন মেম্বার তার বাড়ীতে পুলিশ ভাংচুর চালিয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে হ্নীলা ষ্টেশন থেকে কিছু সংবাদকর্মীকে বাড়ীতে পাঠান। সংবাদকর্মীরা গাড়ী যোগে বাড়ীর গেইট সংলগ্ন রাস্তায় গাড়ী থেকে নামলে সংবাদকর্মী দেখে তাঁর পুত্র শাহ আজম কিছু দুর পালিয়েএক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন বলে ঘটনাস্থলে যাওয়া সংবাদকর্মীরা জানান। পরে সংবাদকর্মীরা আমরা পুলিশ নয় সংবাদকর্মী বলে জানালে শাহ আজম এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং জানান পুলিশ হলে আমি গুলি করতাম।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই রাস্তায় জোরে মোটর সাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে রঙ্গিখালী লামার পাড়া এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁর পুত্র শাহ আজম, শাহ নেওয়াজ ও শাহজালাল ১২/১৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বলে রঙ্গিখালী লামার পাড়া এলাকার শত শত প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানিয়েছেন। এছাড়া গত ২৬ জুলাই রঙ্গিখালী এলাকার মকবুল আহমদের পুত্র অটো রিক্সাচালক আবদুল গফুরকে ধরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে বেদড়ক মারধর করেছিল তার পুত্ররা।